বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা ও শক্তির উৎস। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক ও বাহক ছিলেন। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করেছিলেন। বঙ্গমাতা, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অভিন্ন অবিচ্ছেদ্য। নতুন প্রজন্মকে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের গুণাবলি ও আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ত্যাগ ও অবদান বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৫১,৫১/এ পুরানা পল্টন (৯ম তলা) ঢাকায় আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, অধ্যাপক ড. মুসলিমা জাহান, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, দৈনিক বঙ্গজননী পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাফীকুর রাহী, কবি আসাদ কাজল, কবি এম আর মঞ্জু, কবি কুমার সুশান্ত সরকার, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া, কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক, শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম দিলিপ, কবি আবুল বাশার কুদ্দুস, কবি মমিন হৃদয়, নুরুল ইসলাম বাবুল, মাওলানা হাফেজ আব্দুল মান্নান প্রমুখ। আলোচনা সভার পূর্বে সকাল ৭টা থেকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পবিত্র কোরআন শরীফ খতম দেয়া হয়। আলোচনা শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।