শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কর্নজোড়া ডেউপা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ভারত থেকে নেমে আসা কর্নজোড়া এলাকার ডেউপা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী লোক।এতে যেমন ধ্বংস করা হচ্ছে দেশের সরকারি সম্পদ, তেমনি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ- লাখ টাকা।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, কর্নজোরার মেঁঘাদল হইতে হাঁড়িয়াকোণা পর্যন্ত প্রায় ১৫/ ২০ টি ইঞ্জিন চালিত ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সেখানকার আদিবাসী লোকজন বলেন,ড্রেজার ইঞ্জিনের আওয়াজে বাবলাকোণাও হাঁড়িয়াকোণা লোকজন রাতে ঠিক মতো ঘুমাতেও পারেন না তারা।
আদিবাসীরা আরও বলেন, তারা সংখ্যালঘু উপজাতি তাই তারা এই চক্রটির সাথে কোনো প্রতিবাদও করতে পারেনা। অনেক কিছুই সয়ে যেতে হচ্ছে নিরবে। উগ্রবাদী ও কালোবাজারি ব্যবসায়িকদের ভয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে সেখানকার কয়েকশ আদিবাসীদের।
এবিষয়ে ৩৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবি সদস্যদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন,আমরা তাদের কে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে আমাদেরকে হুমকির মুখে পড়তে হয় এমনকি প্রানে মারার কথা বলেন। এবিষয়ে ৩৯ ব্যাটালিয়ন সুবেদার উমর ফারুক কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি, আমার কাছে এবিষয়ে কোনও অভিযোগ নেই।
বালু ব্যবসায়ী সালমানের নিকট বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বালু উত্তোলন করি, তবে এটার সম্পুর্ণ প্রশাসনিক বা সকল কিছু ঢিল করেন শফিকুল ও মাসুদ। তবে তাদের সাথে অনেকেই জড়িত আছে বলেন, ইব্রাহিম। বিপ্লব, ইয়াছিন, আহমদ আলী বিডিআর, বালুল চেয়ারম্যান, আরও অনেকে।
এবেপারে, শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, ঈদের আগে তিনি সেই বালু মহলে অভিযান পরিচালনা করেন কিন্তু কোনো লোক বা বালু উত্তোলনের কোনো সরঞ্জাম ( ড্রেজার মেশিন) পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকজনের নামে মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি বলেন, অপরাধীদের দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক বিচার করা হবে।