শেরপুরে নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় ও বর্তমান শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মনিরুজ্জামান মিলন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও অবমাননাকর সংবাদ পরিবেশন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ জুন রোববার বিকেল ৩টায় শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মনিরুজ্জামান মিলনের বাবা মোঃ বিরাজ আলী ও ছোট ভাই মাহমুদুল হাসান উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মনিরুজ্জামান মিলনের ছোট ভাই মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, নকলা উপজেলায় কর্মরত কথিত সাংবাদিক ইউসুফ আলী মন্ডল বেশকিছু দিন ধরে তার বড় ভাইয়ের অফিসে গিয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করার ভয় দেখিয়ে টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। টাকা না দেয়ায় ইউসুফ আলী মন্ডল তার ব্যবহৃত ফেসবুকে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন। এতেও ক্ষান্ত থাকেনি ইউসুফ আলী মন্ডল পরবর্তীতে সে আবার নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে অফিসে কর্মরত মনিরুজ্জামান মিলনের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং মারধোর করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে সুস্থ ইউসুফ আলী মন্ডল তার অপকর্ম ধামাচাপা দিতে উল্টো অসুস্থতার ভান করে এবং বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।মাহমুদুল হাসান আরোও বলেন, কথিত সাংবাদিক ইউসুফ আলী মন্ডলের হুমকি ধামকির বিস্তারিত প্রমাণসহ ভিডিও ক্লিপ তাদের হাতে রয়েছে।
এছাড়াও পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে খন্দকার নয়ন ও তার বড় ভা্ই সারোয়ার জাহান নিঝুমসহ তাদের সহয়োগীদের উস্কানি, প্ররোচনা ও মদদে ইউসুফ আলী মন্ডল অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে বলে তারা উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য,গতকাল প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডের জন্য ইউসুফ আলী মন্ডলকে নকলা উপজেলা প্রতিনিধির সকল কার্যক্রম থেকে স্থগিতাদেশ দিয়েছে জাতীয় দৈনিক ভোরের দর্পণ কর্তৃপক্ষ।
এমতাবস্থায় মিথ্যা, বানোয়াট ও অবমাননাকর সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে সুবিচার কামনা করেছেন সংবাদ সম্মেলনে আসা ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামান মিলনের বাবা মোঃ বিরাজ আলী ও ছোট ভাই মাহমুদুল হাসান।
এসময় শেরপুর জেলাধীন শ্রীবরর্দী, নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় কর্মরত অর্ধশতাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।