ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় শেরপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলা সদর, ধানাশাইল, গৌরীপুর, হাতিবান্দা ও মালিঝিকান্দাসহ পাঁচ ইউনিয়নের ২০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার রামেরকুড়া, দিঘীর পাড়, চতলের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে উপজেলা সদর এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানির তোড়ে শুক্রবার (১৭ জুন) রামেরকুড়া গ্রামের বাঁধের সাথে একটি বাড়ি ও মুরগীর খামার ভেসে গেছে। সেই সাথে ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। প্রবল পানির স্রোত থাকায় নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে এসেছে। এদিকে, চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর পানি বেড়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ঝিনাইগাতীর মহারশী নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে নিম্নাঞ্চলে ফের পানি প্রবেশ শুরু করেছে। এতে আতঙ্কে স্থানীয়রা।