শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর আয়নাপুরে বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বাজারসহ ২টি গ্রাম হুমকির সম্মুখিন হয়ে পরেছে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরেছে ২ গ্রামের শতশত মানুষ। জানা গেছে, ২০০৮ সালে পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে সোমেশ্বরী নদীর আয়নাপুরে প্রায় ৫ ফুট নদীর পাড় ভেঙ্গে আয়নাপুর উচ্চ বিদ্যালয়,দাখিল মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নাচনমহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আয়নাপুর ও নাচনমোহরি গ্রাম হুমকির সম্মুখিন হয়ে পরে। এসব রক্ষায় এলাকাবসীর দাবির পরিপেক্ষিতে ২০১৪ সালে এলজিইডি একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। জানা গেছে, ২০১৬ সালে পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে বেড়িবাঁধের উজানের দিকে প্রায় ১০০ ফুট ভেঙে যায়। কিন্ত পরবর্তীতে বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ আর সংস্কার করা হয়নি। ফলে প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলের সময় ওই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করে ভাটি এলাকায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। গত ৯ জুন পাহাড়ি ঢলের পানি ওই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার ২ টি গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন,বেড়িবাঁধটি সংস্কারের অভাবে ভাটি এলাকার হাজারো মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত অবস্তায় দিনাতিপাত করে আসছেন। জরুরি ভিত্তিতে বাধঁটি সংস্কারের দাবি জানান। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।