শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা খাদ্যগোদামে খাদ্যসংগ্রহ অভিযান সফল না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকার চলতি বোরো মৌসুমে ঝিনাইগাতী উপজেলা খাদ্যগোদামে ধান ও চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ১ হাজার ৯১২ মেট্রিকটন ধান ও ১৮ শ মেট্রিকটন চাল। সে অনুযায়ী ১৩ টি মিলারের সাথে চাল ক্রয়ের চুক্তিও করে খাদ্যগোদাম। ধান ক্রয়ের জন্য লটারির মাধ্যমে ৬শ কৃষকের নামও নির্বাচিত করা হয়। ১৭ মে থেকে উপজেলা খাদ্যগোদামে চাল ক্রয় করা শুরু হয়েছে। উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে প্রায় ১৪ শ মেট্রিকটন চাল ক্রয় করা হলেও কৃষকরা খাদ্যগোদামে ধান দিতে আসছেন না । কারন হিসেবে জানা গেছে, সরকারি মূল্যের তুলনায় ধানের বাজার মুল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা খাদ্যগোদামে ধান দিতে আসছেন না। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে ঝিনাইগাতী উপজেলা খাদ্যগোদামে ধান ক্রয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলা খাদ্যগোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলসানা খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন চাল ক্রয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ধানের বাজার মুল্য সরকারি মুল্যের তুলনায় বেশি হওয়ায় কৃষকরা খাদ্যগোদামে ধান দিতে আসছেন না। ফলে ধান ক্রয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।