বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে বুধবার (২৫ মে) বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে সকালে টিএসসি মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধি পর্যন্ত এক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি শেষে কবির সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সমাধি প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহা. রোকন উদ্দিন পাঠান, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. নজরুল ইসলাম তামিজী, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার, নির্বাহী সদস্য মোঃ মাসুদ আলম, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আওয়াল, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া, শেখ আসাদুজ্জামান আজম মোর্শেদ আলম দুলাল, মোঃ আব্দুর রহিম সরকার, আবুল বাশার বাদল, নাজমুল হাসান মিলন, প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলি আমাদের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। তার অজ¯্র রচনা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর বাঙালিদের শক্তি-সাহস জুগিয়েছে। তিনি সামপ্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ও মানবতার পক্ষে আজীবন কাজ করেছেন। তার সাহিত্যকর্মে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিল সর্বদা স্পর্ধিত উচ্চারণ। তিনি ছিলেন সাম্য ও মানবতার কবি। সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে নতুন প্রজন্মকে কবি নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। তিনি নজরুল চর্চা বাড়ানোসহh নজরুলের রচনাবলি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে তা বিশ্বব্যাপি সঞ্চারিত ও প্রসারিত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।