ভাওয়াল বীর প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির ১৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ৭ই’মে সকালে তার নিজ বাড়ি হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পরিবারের পক্ষ থেকে তার বড় ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি’র পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করার মধ্য দিয়ে পবিত্র কোরআনখানি, কালো ব্যাচ ধারণ, মিলাদ, দোয়া মাহফিলসহ ব্যাপক আকারে কর্মসূচির পালন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কর্মীসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পরে ২০০৫ সালের ১৬ মে এই মামলার রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামিদের ডেথ রেফারেন্স,জেল আপিল ও আবেদনের শুনানি শেষে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে ১১ জনকে খালাস দেয়। বিচার চলাকালে দুইজন আসামি মারা যাওয়ায় তাদের আপিল নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামির আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, যার বাবা নেই সে বুঝে বাবা হারানোর কষ্ট কি।আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের দ্রুততা সাথে বিচার কার্যকর করার দাবী জানাচ্ছি।