শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ঘোড়া দিয়ে অন্যের আবাদি জমি চাষ করে সংসার চালিয়ে আসছে হাফিজুর। হাফিজুর, ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের বিলাশপুর গ্রামের মোঃ লাল মিয়াঁর ছেলে। হাফিজুর একজন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। হাফিজুরের বাবা একজন দিন মজুর হওয়ায়, তার ছেলেও মেয়েদের পড়াশোনা করাতে পারে নাই।
হাফিজুরের প্রাপ্ত বয়স হলে- তার বাবার ইচ্ছায় হাফিজুরকে বিয়ে করান। ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের নাচন মুহরি গ্রামের মোঃ ময়দান মিয়ার, মেয়ের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর হাফিজুর তার পৈতৃক ভিটায় থেকেই শুরু করেন তাদের নতুন সংসার।
জানা যায়, হাফিজুর বিয়ের তিন বৎসর পর- বউকে নিয়ে সে তার শশুর বাড়িতে চলে যায়, এবং সেখানে থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে চালিয়ে আসছে তার সংসার। এভাবে না পেয়েছে সে তার বাবার সহায় সম্পত্তি, আর না পেয়েছে তার শশুর বাড়ি থেকে কোনো সহযোগিতা ও পাননি। দিন রাত অন্যের বাড়িতে কাজ করে, কিছু টাকা জমিয়ে সে একটা ঘোড়ার গাড়ি কিনে।
কিন্তু ঘোড়ার গাড়িতে আয় রোজগার কমে যাওয়ায় তার সংসার চালানো অনেক কষ্ট কর হয়ে পরে। হাফিজুর বলেন, আমি আমার (৫) জন ছেলে- মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টের মাঝে সংসার চালিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো দিন, সরকারি ভাবে কোনো সহায়তা পাইনি।
তিনি আরও বলেন, অবশেষে সে তার ঘোড়া রেখে, গাড়িটা বিক্রি করে দেন এবং আর একটা ঘোড়া কিনে, বর্তমানে সে গরুর জায়গায় ঘোড়া দিয়ে অন্যের আবাদি জমি চাষ করে তার সংসার চালিয়ে আসছে। আর এ-ই অল্প আয়ের মধ্যেই সে অনেক কষ্টে (১০) শতাংশ জমি কিনে, তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু টাকা পয়সার অভাবে কিনতে পারছেন না হালের এক জোরা গরু। তাই হাফিজুর – এলাকার সর্ব মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।