আজ বুধবার ৬ এপ্রিল মল্লিক ফখরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়াটার্স এর সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার, গাজীপুর, কুমিল্লা, সিলেট, মাদারীপুর ও বগুড়া রিজিয়ন এর উপস্থিতিতে সকল হাইওয়ে থানা ফাড়ীর ওসি আইসিদের জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত জুম কনফারেন্স মিটিং এ মল্লিক ফখরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি তাহার হাইওয়ে পুলিশকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন তাহার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো – সামনে আসন্ন ইদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রমজান মাসে কোন প্রকার গাড়ী সিগনাল দেওয়া যাবে না, সেই সাথে জনগন যাতে ইদে নির্বিঘ্নে বাড়ী যেতে পারে তাহার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি হাইওয়ে পুলিশের সকল প্রকার অবৈধ লেনদেন মাসিক/মাসোয়ারা বন্ধ করার প্রতি কঠোর দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। যদি কোন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ কাজ চাদাবাজি সহ মাসিক/মাসোয়ারা তুলার কোন তথ্য পাওয়া যায় তাহলে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। তাহার এই কঠোর নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে সালনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন নিজে সহ তাহার থানায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যদের মহাসড়কে কোন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ড, মাসিক/মাসোয়ারা না নেওয়ার বিষয়ে মৌখিক শপথ গ্রহণ করান এবং সকলের নিকট হইতে লিখিত ভাবে অঙ্গিকার গ্রহণ করেন। সালনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন আরো বলেন আমি সহ যদি আমার থানার কোন পুলিশ সদস্য এর বিরুদ্ধে কেউ এই ধরণের অনৈতিক কাজের তথ্য দিতে পারে তাহলে তাহার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই বিষয়ে আলী আহমদ, পুলিশ সুপার, হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর রিজিয়ন মুঠো ফোনে জানান, আমার গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়ন এর প্রতিটি পুলিশ সদস্য সৎ ও যোগ্য। আমার জানা মতে সালনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সহ কোন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে পূর্বে কোন চাদাবাজি, মাসিক মাসোয়ারা উত্তোলন সহ কোন অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায় নি আর আশা করি পাওয়া যাবেও না। তার পরেও যদি কেউ সালনা হাইওয়ে থানার কোন পুলিশ সদস্য এর বিরুদ্ধে কোন প্রকার অবৈধ লেনদেন, চাদাবাজি, মাসিক মাসোয়ারা এর তথ্য দিতে পারে তাহলে এই পুলিশ সদস্য এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করতেই পিছপা হবো না।