বাবার কাছ থেকে প্রায় চার বছর আগে ৩৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন মেয়ে আকলিমা। সম্প্রতি সেখানে বাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করেন। পরে ওই নির্মাণাধীন বাড়ি ভাঙচুর ও আপন চাচিকে সজোরে বুকে লাথি মেরে ইটের ওপর ফেলে দিয়ে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করেন আকলিমার চাচাতো ভাই মাসুদ রানা। এরপর ভাড়া করা লোক দিয়ে সদ্য নির্মিত বাড়ি ভেঙে দেন রানা।
বৃদ্ধাকে লাথি দিয়ে বাড়ি ভাঙচুরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার ২৮ মার্চ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার উত্তর পেলাইদ গ্রামে। ধারণকৃত ভিডিওটি সন্ত্রাসীদের ভয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে সাহস পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। এরপর রাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর মেয়ে আকলিমা বলেন, ‘আমি আমার বাবার থেকে ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রায় চার বছর আগে এই জমিটি ক্রয় করি। সম্প্রতি আমি বাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করি। আজকে আমাদের চাচাতো ভাই মাসুদ রানার নেতৃত্বে কিছু লোক বাড়িটি ভাঙচুর করা শুরু করে। পরে আমার মা সামনে এগিয়ে গেলে মায়ের বুকে সজোরে লাথি মেরে ইটের ওপর ফেলে দেয়। এতে মা রক্তাক্ত হয়ে যায়। মাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমার বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি মাসুদসহ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযুক্তরা হলেন—নুরুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) ও মজলু মিয়ার ছেলে রুমান (২৫) ও আরমান (১৮)।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’