মহামারী করোনার প্রেক্ষিতে কারাবন্দিরা যাতে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে পারে, সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত ১২তম ব্যাচ ডেপুটি জেলার এবং ৫৯তম ব্যাচ কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে বন্দিদের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ থাকায় তাদের পরিবারের সাথে সপ্তাহে ১ দিন ১০ মিনিট মোবাইলে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। মোবাইলে কথা বলার পাশাপাশি ভিডিও কলের ব্যবস্থা করার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।থ
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই ২০০ বছরের ইতিহাসের সকালের নাস্তায় রুটি ও গুড়ের পরিবর্তে সপ্তাহে চার দিন সবজি-রুটি, দুই দিন খিচুড়ি, একদিন হালুয়া-রুটি দেয়া হচ্ছে যা যুগান্তকারী পরিবর্তন। বাংলা নববর্ষসহ বিশেষ দিবসগুলোতে উন্নত মানের খাবারের জন্য বন্দি প্রতি বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবন ও যৌবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন কারাগারের চার দেয়ালের ভিতরে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারাগারের ভিতরে বসেই। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীথ এবং ‘ কারাগারের রোজনামচাথ নামক গ্রন্থ দুটিতে বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন এবং কারাগারের বিষয়াবলী সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই কারাগারেই নির্মমভাবে শহীদ হয়েছেন জাতীয় চার নেতা। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শৈখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেছেন।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রিক্রুট ডেপুটি জেলাদের র্যাঙ্কব্যাজ প্রদান এবং রিক্রুট প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রশিক্ষণার্থীদের অন-আর্মড কমব্যাট ও পিটি ডিসপ্লে উপভোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রি. জেনারেল এএসএম আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন।