শেরপুরের , ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শেরপুর সদর উপজেলার সংযোগস্থল কলস নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে ১০ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । এ নদীর উপর একটি সেতুর দাবি উঠে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ নদীর উপর একটি সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। ঝিনাইগাতী,নালিতাবাড়ী ও শেরপুর সদর, উপজেলার সংযোগ স্থলের তিন উপজেলার ১০ গ্রামের শতশত মানুষ কলস নদী পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় চলাচলকারী মানুষদের। স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে তৈরি করা একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয় মানুষের। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০-১২ হাজার মানুষ এই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে।নদীর এক পাড়ে কলসপাড় ইউনিয়নে তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে-পশ্চিম কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মাদিয়া কওমী মাদ্রাসা ও কলসপাড় নঈমী দাখিল মাদ্রাসা। এছাড়াও রয়েছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।বাঁশের সাঁকোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে হরহামেশাই ঘটে দুর্ঘটনা। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পন্য ও গবাদি পশু পারাপারে কৃষকদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। রোগী থাকলে তো দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আলেয়া, আছিয়া, বিলকিছ সহ কয়েক জনের সাথে কথা হলে তারা জানায়, এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে আমগর খুব কষ্ট অয়।একবার পা পিচলে পইড়াও গেছিলাম। এখন সাবধানে সাঁকোতে উঠি। এই হানে একটা ব্রীজ দিলে ভালো অইতো। থপশ্চিম কলসপাড় গ্রামের রহমত আলী (৫০) বলেন, একটি সেতুর অভাবে ৫০ বছর ধরে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছি। সব এলাকার উন্নয়ন হলেও আমাদের এখানে হয় না।শুধু একটি সেতুর অভাবে পিছিয়ে যাচ্ছি। ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম তোতা ও
কলসপাড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, কলস নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি উঠে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। বিভিন্ন সময় উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় এখানে সেতু নির্মানেন জন্য আলোচনাও হয়েছে। আশ্বাসও পাওয়া যায় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাদেরর মতে এখানে একটি সেতু জরুরি প্রয়োজন। শেরপুরের এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য ডিপিপি নামে নতুন একটি প্রকল্পের আওতায় আন্তরভুক্ত করা হযেছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে কার্যক্রম শুরু করা হবে।