সদ্য প্রকাশিত রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটিতে ১৮৭০ পিস ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে গ্রেপতার হয়ে জামালপুর জেলে দীর্ঘ দিন আটক থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া মোঃ আবু হান্নান, পিতা মোঃ লুতফর রহমান, সাং টাঙ্গালিয়াপাড়া কে রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি করা হয়েছে। ফজলুল করিম নামে রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ অপরিচিত একজনকে করা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক। যে কিনা কখনোই বিএনপির রাজনীতির সাথে জরিত ছিলো না। উপজেলা যুবদলের এক নেতার ভাতিজা হওয়ার সুবাদে ত্যাগিদর বাদ দিয়ে ফজলুল করিমকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন করা হলো।সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে রাসেল মাহমুদ নামে আরেক মাদক সেদিকে। যে রাসেল মাদক সেবন করে মাতাল অবস্থায় রাজিবপুর বাজারে বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেছে।রাসেলের মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার অসংখ্য প্রতক্ষদর্শী রয়েছে। লোক মুখে শোনা যাচ্ছে রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান ও সদস্য সচিব নাজমুল হাসান সাইনিং পাওয়ারের অপব্যবহার করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ি হান্নানকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি,যুবদলের নেতার ভাতিজাকে সাধারণ সম্পাদক ও মাদকাসক্ত রাসেলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করে।মাদকাসক্তদের দ্বারা কমিটি ঘোষণা করায় রাজিবপুর উপজেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে।বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা জোর দিয়ে বলছেন যে,অসংখ্য সুশিক্ষিত ও ভদ্র ছেলে থাকতে তাদের বাদ দিয়ে,ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটিকে অগ্রাহ্য করে মাদক ব্যবসায়ীদের ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা বানানোর মাধ্যমে সংগঠনকে কলংকিত করা হয়েছে।আমরা এই লজ্জাজনক কমিটি মানি না।এই কমিটিকে অকার্যকর ঘোষণা করা না হলে সুশিক্ষিত ও ভদ্র ছেলেরা সংগঠন বিমুখ হয়ে যাবে।সংগঠন ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সম্মান বাঁচাতে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হোক।