প্রথম শ্রেণির সৈয়দপুর পৌরসভায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে উন্নয়নকাজ থমকে গেছে। পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে মেয়রের পক্ষে তিনজন আর বাকি ১৭ জন বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে উন্নয়ন নিয়ে পরিষদের কোনো সভা হচ্ছে না।
এতে করে পৌরসভার উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটছে। পৌরসভায় এ অবস্থা বিরাজ করছে অনেক দিন থেকেই, যা কোনোভাবেই সমাধান হচ্ছে না।
পৌরসভায় এবারে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদলের সহধর্মিণী রাফিকা আকতার জাহান বেবী। শুরুতেই পৌরবাসী পৌরসভার উন্নয়নে আশাবাদী ছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের মেয়রের হাত দিয়ে পৌরসভার রাস্তাঘাটসহ ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কিন্তু বাস্তবে সে আশার গুঁড়েবালি। সৈয়দপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার জরাজীর্ণ সড়ক মেরামত ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করতে পারছেন না মেয়র। গেল ডিসেম্বরে এটির কাজ করার কথা থাকলেও পৌরসভার সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মতবিরোধে এখনও কাজ শুরু করা হয়নি।
এ সড়কের দুর্দশা ও মানুষের চলাচলের ভোগান্তি নিয়ে প্রতিদিনই ফেসবুকে নতুন নতুন কমেন্ট পড়ছে। সিফাত আদনান নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, সৈয়দপুর তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত বেহাল সড়কের নির্মাণের জন্য মুক্ত হস্তে দান করুন। আপনার সামান্য সহযোগিতায় প্রাণ ফিরে পাবে সড়কটি। সময় অপচয় ও নিত্যদিনের সড়ক দুর্ঘটনা এবং ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে সৈয়দপুরবাসী। চৌধুরী টাওয়ারের সামনে এ দানবাক্স বসানো হবে বলে ফেসবুকে উল্লেখ করেন তিনি।
পৌরসভার একটি সূত্র জানায়, মূলত ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এই পৌরসভায় মোট ওয়ার্ড রয়েছে সাধারণ ১৫টি ও সংরক্ষিত ৫টি। দ্বন্দ্বের কারণে একদিকে মেয়রের সঙ্গে তিনজন ও অপরদিকে ১৭ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এতে পৌরসভায় সেবা নিতে আসা পৌরবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রতিটি কাজেই পোহাতে হচ্ছে বিড়ম্বনা। একজন সই করলে আরেকজন করছেন না। এতে করে পৌরসভার উন্নয়নকাজও থেমে গেছে এবং পৌরবাসী সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। সৌজন্যে যুগান্তর।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান জানান, জরাজীর্ণ সড়কটি মেরামতের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। খুব শিগগির সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হলে মানুষের ভোগান্তি আর থাকবে না। তবে দ্বন্দ্বের বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।