শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সদস্যা প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরবিধি লংঘনের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরনবিধি লংঘনের অভিযোগ বেশি। এ উপজেলায় ৫ম ধাপে ৫ জানুয়ারি নির্বান অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা আচরণ বিধি লংঘন করে আসছেন। মনোনয়ন দাঁখিলের সময় শতশত যানবাহনে ঢাকঢোল পিটিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা। ২০ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্দ পাওয়ার পর প্রতিনিয়ত শোডাউন ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন প্রার্থীরা। সভা সমাবেশে নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন করে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে অবাধে। টাকা দিয়ে সরাসরি ভোট কেনারও অভিযোগ রয়েছে অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, কাংশা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী জহুরুল হক গুরুচরন দুধনই বাজারে তোরণ নির্মাণ করেছেন। হাতিবান্ধা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম পাগলারমুখ বাজারে নৌকার প্রতিক দিয়ে গেইট তৈরি করে তাতে আলোকসজ্জা করেছেন। এনিয়ে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আসলাম ও আনার উল্লাহ। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) জয়নাল আবেদীন বলেন, আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ টি মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বি ১৬ জনের কাছ থেকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।