শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষকদের পানির চাহিদা মিটিয়ে নালিতাবাড়ীর কৃষকদের পানি দিতে রাজি হলেন ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষকরা। ২২ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মহারশি নদীর রাবারড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির আয়োজনে হলদীগ্রামে এক আলোচনা সভায় কৃষকদের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আল মাসুদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা
সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ জয়নাল আবেদীন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোফাজ্জল হোসেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রাধা বল্লভ সরকার,উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, মহারশি নদীর রাবারড্যামের পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিলন,সাধারণ সম্পাদক রায়হান ওরফে ছালাম দেওয়ান প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে মহারশী নদীর শালচুড়ায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি (জাইকা)থর অর্থায়নে একটি রাবারড্যাম নির্মান করা হয়। এ রাবারড্যামের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে ঝিনাইগাতী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের যুগযুগ ধরে অনাবাদি থাকা ১২ শ একর জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন চলতি বোরো মৌসুমে এর পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে। ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন,মহারশি রাবার ড্যামের পানি দিয়ে চাষাবাদের পর অনেক পানি অপচয় হয়। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ি উপজেলার পোঁড়াগাঁও ইউনিয়নে সেচ সুবিধার অভাবে যুগযুগ ধরে ১ হাজার একর পাহাড়ি জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না। এসব এলাকার মাটির নিচে প্রচুর পরিমানে পাথর থাকার কারনে গভীর অগভীর কোন নলকূপ স্থাপনের ও সুযোগ নেই। নালিতাবাড়িতে চেল্লাখালি ও ভোগাই নদীতে ২ টি রাবারড্যম থাকলেও দুরত্বের কারনে তা ব্যাবহার করা সম্ভব না। তাই মহারশি নদীর রাবারড্যামের অপচয়কৃত পানি পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগিয়ে পোঁড়াগাঁও ইউনিয়নের ১ হাজার একর জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে জাইকা’র খুদ্র পানি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ হাতে নেয় এলজিইডি। নভেস্বর মাসের প্রথম দিকে নির্মান কাজ শুরু ও হয়। কিন্তু আঞ্চলিকতার ইস্যু তুলে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয় মহারশী নদীর পালি ব্যাবস্তাপনা সমিতির আওতাভুক্ত কৃষকরা। কৃষকদের দাবির পক্ষে অবস্থান নেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। গত এক মাস কাজ বন্ধ থাকার পর তা নিরসনের জন্য বুধবার প্রশাসনের উদ্যোগে কৃষকদের নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে কৃষকদের পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষকদের পানির চাহিদা মিটিয়ে যদি পানি দেয়া যায় তাদের কোন রকমে আপত্তি নেই।