শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্তে ফের শুরু হয়েছে বন্যহাতির তান্ডব। গতকয়েক দিন ধরে পাহাড়ি গ্রাম গুলোতে চলছে বন্যহাতির তান্ডব। উপুর্যপুরি বন্যহাতির তান্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা। হাতি তাড়াতে গিয়ে আবুল কালাম (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আবুল কালাম উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কামারের ছেলে। ঘটনাটি ঘটে ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে। রাংটিয়া গ্রামের কৃষক ওয়াহে আলী,চাঁন মিয়া, খলিলুর রহমান, ফারুক মিয়া, সুরুজ পাগলা, নজরুল ইসলামসহ গ্রামবাসীরা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ৩০/৪০টি বন্যহাতির একটি দল গভীর অরন্য থেকে নেমে এসে কৃষকদের ক্ষেতের পাকা ধান সাবাড় করে দেয়। হেলাল নামে এক কৃষকের প্রায় ২৫ শতাংশ জমির পাকা ধান খেয়ে সাবাড় করে দেয়। এসময় ক্ষেতের ফসল রক্ষার্থে মশাল জ্বালিয়ে কৃষকরা হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বন্যহাতির দল উল্টো কৃষকদের ধাওয়া করে। বন্যহাতির ধাওয়া খেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় আবুুল কালাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে স্টোক হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে জমা দিলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরন দেয়া হবে।