শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অধ্যক্ষ বরখাস্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিলা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গায়েব হয়ে গেছে। ফলে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ১৭৬ জন শিক্ষার্থী পরেছে চরম বিপাকে।
জানা যায়, উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষা অধিদপ্তর ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম গত প্রায় ২ বছর পুর্বে তাকে বরখাস্ত করেন। শিক্ষা অধিদপ্তর তার এমপিও বাতিল করেন। এ ঘটনার পর থেকে অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন। এরপর তিনি আর কলেজে আসেননি।
কলেজ কর্তৃপক্ষ সিনিয়র অধ্যাপক আলীম আল রেজা নিক্সনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব দিয়ে পরিচালনা করে আসছেন প্রশাসনিক কার্যক্রম। করোনা মহামারীর বন্ধের পর কলেজ খোলা হলে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষা বর্ষের এইচএসসি অটো পাশের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাদের মুল রেজিঃ কার্ডের প্রয়োজন দেখা দেয়। শিক্ষার্থীরা তাদের রেজিঃ কার্ডের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু অধ্যক্ষের কক্ষে তালা বন্ধ থাকায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের রেজিঃ কার্ড দিতে ব্যর্থ হন।
পরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এ বিষয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর শেরপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদের নির্দেশে ১ অক্টোবর শুক্রবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) জয়নাল আবেদিন কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষের তালা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করেন। প্রবেশের পর অধ্যক্ষের কক্ষে প্রয়োজনীয় কোন কাগজ পত্রই তিনি পাননি। এসময় অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ পরিদর্শক এসআই আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, উপজেলা র্দুনীতি দমন কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক আলহাজ আবুল হাসেম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক- কর্মচারী ও সাংবাদিক। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র না পেয়ে ১৭৬ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ রয়েছেন চরম বিপাকে।