নারায়নগঞ্জের অসাধু পুলিশের কারসাজি ও আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ির ষড়যন্ত্র চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় ৮ মাস ২২ দিন কারা ভোগের পর বিজ্ঞ আদালত হতে ২ বৎসর ৪ মাস ২০ দিন পর দায় মুক্ত ও খালাস সাংবাদিক সাংবাদিক আবুল লতিফ সিদ্দিকী।
সাংবাদিক আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গত ২০১৯ সালে ২ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় গাজীপুর সিটি করর্পোরশনের প্রধান ফটকে (গেইট) সাদা পোশাকে একদল পুলিশ মাইক্রো বাসে উঠিয়ে নেয়। ৫/৬ দিন পর নারায়নগন্জ সিটির রেলগেট নিউ অতিথি আবাসিক হোটেলের পরিচালক জাকির হোসেন ( পিতা মৃতঃ সোলাইমান মুন্সি ) বাদী হয়ে, নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি মিথ্যা মামলা রজু করে। [যার নম্বর (অজ্ঞাত কারণ) ধারাঃ ৩২৩/ ৩৮৫ /৫০৬ দন্ডবিধি) ]। তাকে উক্ত মামলায় ৫ নম্বর বিবাদি করা হয়। দীর্ঘ ৮-মাস ২২-দিন কারাভোগের পর আদালত জামিন দিলে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার নারায়নগঞ্জ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জর্জ বিশেষ ট্র্যাইব্যুনাল – ০৭ আদালতে বাদী-বিবাদি পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবি গণ শুনানিতে যুক্তি-তর্ক উপস্হাপন করেন।
দীর্ঘ শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকেসহ সকল বিবাদী গণকে উক্ত মামলা হতে অব্যাহতি ও বেকসুর খালাস দেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী জানান, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও মান সম্মান ক্ষুন্ন সহ তিনি দীর্ঘদিন বিনা কারণে জেল খেটেছেন, পেশাগতভাবে ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই তিনি ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী তার ব্যক্তিগত ফেসবুকেও ন্যায় বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের নিকট এ ব্যাপারে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বর্তমানে গাজীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা ভূমি পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বে কর্মরত আছেন।