সৈয়দপুর উপজেলা বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলায় অবস্থিত।
নীলফামারী জেলাস্থ সৈয়দপুর উপজেলার পূর্বে কিশোরগঞ্জ উপজেলা ও রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা, উত্তরে নীলফামারী সদর উপজেলা, পশ্চিমে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা ও চিরিরবন্দর উপজেলা এবং দক্ষিণে পার্বতীপুর উপজেলা অবস্থিত।
জনসংখ্যাঃ
উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৬৪,৪৬১ জন, তন্মধ্যে পুরুষ ১,৩৩,৭৩৭ জন, নারী ১,৩০,৭২৪ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২,১৭৪ জন।
আয়তনঃ
আয়তন ১২১.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। ভৌগোলিক অবস্থান অক্ষাংশ ২৫ক্ক৪৪ উত্তর এবং ২৬ক্ক১৯ উত্তর; দ্রাঘিমাংশ ৮৮ক্ক৪৪ পূর্ব এবং ৮৯ক্ক১২ পূর্ব।
প্রশাসনিক এলাকাঃ
সৈয়দপুর উপজেলা ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
পৌরসভাঃ
সৈয়দপুর পৌরসভা
ইউনিয়ন সমূহঃ
কামারপুকুর ইউনিয়ন।
কাশিরাম বেল পুকুর ইউনিয়ন।
বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন।
বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন।
খাতামধুপুর ইউনিয়ন।
ইতিহাসঃ
সৈয়দপুর থানা একটি অনেক পুরাতন থানা। ১৯১৫ সালে সৈয়দপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। অধিকাংশদের মতে ভারত বর্ষের কুচ বিহার থেকে আগত মুসলিম সাইয়্যেদ পরিবার প্রথমে এ অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। উক্ত সাইয়্যেদ পরিবারের নামানুসারে প্রথমতঃ সাইয়্যেদপুর পরে সৈয়দপুর নামকরণ করা হয়। বিগত ০৭/১১/৮২ তারিখে মান উন্নীত থানা হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ উপজেলার আয়তন ১২১.৬৮ বর্গ কিঃ মিঃ। ২০০১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী মোট লোক সংখ্যা – ২,৬৪,৪৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ-১,৩৩,৭৩৭ জন এবং মহিলা- ১,৩০,৭২৪ জন। শিক্ষার হার ৫৪.৬%। তদানিমতন পূর্ব পাকিস্তান আমলে সৈয়দপুর সিটি টাউন ছিল। কালের চক্রে তাহা বিলুপ্ত হইয়াছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সিটি টাউনের চেয়েও কাজে কর্মে জেলা শহরের রুপ নিয়াছে। সৈয়দপুরে বিভাগ পূর্ব ভারত বর্ষের বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, আসাম, পশ্চিম বাংলা, রাজস্থান, কাশ্মিরের লোকজন স্থায়ীভাবে এখানে এসে বসবাস করছে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের একত্রে বসবাস।
অন্যান্য উপজেলা থেকে সৈয়দপুর একটি ব্যতিক্রমধর্মী উপজেলা । এ উপজেলার অধিকাংশ লোকজন শহর এলাকায় বসবাস করে।
এ শহরে একটি সেনানিবাস এবং বাংলাদেশের একমাত্র ই.এম.ই সেন্টার ও স্কুল আছে। এখানে একটি বিমান বন্দরও আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি উপ-বিভাগ রয়েছে। একটি ছোট আকারে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও রয়েছে। এখানে একটি বিসিক শিল্প এস্টেট রয়েছে। যেখানে পুরো এলাকা জুড়েই শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়েছে এবং বর্তমানে চালু রয়েছে। এ এস্টেট সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জোর দাবী রয়েছে।
রেলওয়েকে কেন্দ্র করে এ শহর গড়ে উঠলেও সময়ের বিবর্তনে এ শহর উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। পরিবহনের ক্ষেত্রে সৈয়দপুর বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুরসহ ৮টি জেলার করিডোর বা নার্ভ সেন্টার হিসেবে পরিচিত।
শিক্ষাঃ
শিক্ষা ক্ষেত্রে এই উপজেলা অতি উন্নত। পার্শ্ববর্তী সকল উপজেলা এমনকি জেলা সদর থেকেও এটি উন্নত।এখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বরাবরই দিনাজপুর বোর্ডে শীর্ষ স্থান দখল করে। এখানের উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো হলো, বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সৈয়দপুর সরকারি কলেজ, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ , ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর , লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ,সৈয়দপুর আল-ফারুক একাডেমি,সৈয়দপুর, সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ , সৈয়দপুর, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল, সৈয়দপুর, লক্ষনপুর স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর।