গাজীপুর মহানগরের ২৭নং ওয়ার্ড লক্ষিপুরা এলাকার বাসিন্দা শিউলি আক্তার(৩৫)এর উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিউলি আক্তার গাজীপুর মেট্রো সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১১টার দিকে শিউলি আক্তারের সৎ মা ফাতেমা বেগম ও বিবাদী মতিউর রহমান মতি( সাবেক কাউন্সিল) পরস্পর যোগসাজশে অজ্ঞাত ৫/৬ জন সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে অর্তকৃত হামলা চালিয়ে শিউলি আক্তারকে জোরপুবক ভাবে পৈতৃক ঘর বাড়ী থেকে উচ্ছেদ কারার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত ও শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন মতিউর রহমান মতি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এক পর্যায়ে মতিউর রহমান মতি
শিউলি আক্তার কে পিটিয়ে শরিরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে। এমনকি তাকে টেনেহিচড়ে তার পৈত্রিক বসত ঘর থেতে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেয়। শিউলির আক্তারের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলা কারীরা শিউলিকে পরবর্তিতে সুযোগ বুঝে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় এবং শিউলি আক্তারের গলায় থাকা ৮আনা ওজনের চেইন ও ঘরে থাকা ৪ভরি স্বর্ণালংকা সহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামল নিয়ে চলে যায়।
পরবর্তিতে শিউলি আক্তার পুলিশি সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে সদর থানা পুলিশের সহযোগিতা নেয়,পরবর্তিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা দেখতে পায়।
ঐ দিনিই গাজীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিকেল সদর মেট্রো থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিউলি আক্তার। অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে সদর থানার ৫ সেপ্টেম্বর ডিউটি কর্মকর্তা (মহিলা পুলিশ) রোকসনা জানিয়েছেন অভিযোগ পত্রটি ওসি স্যারের টেবিলে রাখা আছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, শিউলি আক্তার পিতা মৃত সিদ্দিকুর রহমান গ্রাম লক্ষীপুরা ওয়ার্ড নং ২৭গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, বিবাদী ফাতেমা বেগম সম্পর্কে শিউলির সৎ মা, দির্ঘ দিন যাবৎ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি চলছিল। এবিষয়ে শিউলি আক্তার গত ৩০/০৭/২০২১ ইং তারিখ গাজীপুর সদর মেট্রো থানায় ১৬২৫নং একটি সাধারন ডায়েরি ও স্হানীয় কাউন্সিলর এর কার্যালয় অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায়, একটি স্থানীয় পত্রিকা অফিসে গত ১লা আগস্ট শিউলি আক্তারের সৎ মা ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।
খবর পেয়ে ঐ দিন বিকেলে জিএমপি সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাবেউল্লা জবে কে সাথে নিয়ে শিউলি আক্তারের বাড়ী ঘর পরিদর্শন করেন, এবং তারই ধারাবাহিকতায় গত ২রা আগস্ট কমিশনারের কার্যালয়ে ওসি, কাউন্সিলর, তিনজন উকিল, সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে প্রায় ৫ঘন্টা এবিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শেষে বলা হয়, শিউলি আক্তার এর বাবার ক্রয়কৃত সম্পত্তি যাহা শিউলি আক্তার বিক্রয় করেছে এবং উক্ত বিক্রিত সম্পত্তির দলিলে বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের সুপ্রিম কোর্ট ডিভিশন শিউলি আক্তার পক্ষে রায় দিয়েছে, সেই রায়ের কাগজ ফাতেমা আক্তারের হাতে না থাকায় বিষয়টি সন্ধিহান হয়ে পরে। কাউন্সিলর কর্যালয় এজলাসে বলা হয, করোনা পরবর্তি কোর্ট খোলার সময়ে কোর্ট থেকে কাগজ তুলে বাতিল বা গ্রহনযোগ্য হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হয়ে পরবর্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সে পর্যন্ত শিউলি তার নিজের বাড়ীতে অবস্থা করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
এসব ঘটনার পরেও মতিউর রহমান মতি ও শিউলির সৎ মা মোছাঃ ফাতেমা বেগম কোন খুটির জোরে শিউলি আক্তারকে তার পৈত্রিক বাড়ীঘর থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে? কি তাদের উদ্দেশ্য? কারাইবা এসব ঘটনা মুলে রয়েছে সে বিষটি খতিয়ে দেখার আশায় সরকারি বিভিন্ন প্রশাসন কর্মকর্তাদে দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরছে শিউলি আক্তার।