সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল গাজীপুর মহানগরের ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।
সিটি কর্পোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সম্মানিত সদস্য,গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল এর সার্বিক সহযোগিতায় ও গাছা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ হারুনুর রশিদ মোল্লা। ছাত্রলীগ নেতা রাব্বির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন মহি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর কৃষকলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক লিটন মোল্লা, গাছা থানা কৃষকলীগের সভাপতি শাহজালাল তরুণ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল মোল্লা, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল খান, মহানগর কৃষক লীগের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ হালিম খান ,আলহাজ্ব আমির হোসেন ভুট্টো, গাছা থানা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুম্মন খান সহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সার্বজনীন অবিসংবাদিত নেতা।খুনিরা তাকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে অনেক পিছিয়ে ফেলে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী সরকারগুলো দেশের উন্নয়নের চেয়ে নিজেদের আখের গোছানোর চিন্তায় মগ্ন ছিল।বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি ভিক্ষুকের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।
কিন্তু মহান আল্লাহর ইচ্ছায় জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু স্বাধীনতার পরাশক্তি এখনো সক্রিয়। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য শেখ হাসিনা তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপর বারবার আঘাত হেনেছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে পারেনি।গণতন্ত্রের মানস কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধুর সকল খুনিদের বিচারের রায় অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠান শেষে সকল শহীদদের জন্য দোয়া করা হয় এবং গণভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।