দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও দ্রুত আলামত নষ্টের অভিযোগে আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার ৩১ আগস্ট এক গৃহবধুর লাশ কবর থেকে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকারের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলোন করা হয়েছে।
গত বুধবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামে ওই গৃহবধুকে দাফন করা হয়।নিহত গৃহবধু জেসমিন আক্তার বিরামপুর উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুতের স্ত্রী।
মামলা সূত্রে জানা যায়,সোমবার(২৩ আগষ্ট) দুপুরে নিজ বাড়িতে ওঠানে তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বেধড়ক মারপিট করতে থাকে স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুৎ।এঘটনার কিছুক্ষন পরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কীটনাশক পান করেন জেসমিন আক্তার। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই দিন সন্ধায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর একদিন পর বুধবার (২৫ আগষ্ট) ভোরে জেসমিন আক্তারের মৃত্যু হয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে না জানিয়ে বুধবার দুপুরে স্থানীয় দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় পারিবারিক ভাবে আপোষ -মিমাংসা করে আলামত নষ্ট করার উদ্দেশ্যে জেসমিন আক্তারের লাশ দ্রুত দাফন করানো হয়।
এবিষয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনা ও দ্রুত আলামত নষ্টের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়েছে।বিষয়টি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়েই আজ মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট) লাশ উত্তোলোন করা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্ত জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে যথা নিয়মে আবারো দাফন কার্য সম্পূর্ণ করা হবে।
কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার , সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ওয়াহেদুননবী, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মতিয়ার রহমান,মামলা তদন্তকারী এস আই শাজাহান সিরাজ ও সর্ঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।