আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১ খ্রি, তারিখে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ওয়েবেনার জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্রীড়াঙ্গণের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তাঁর শাসনামলে খেলাধূলার মান উন্নয়নে ফুটবল ফেডারেশন ও ক্রিকেট বোর্ড গঠিত হয়। পরবর্তীতে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা খেলাধূলায় বঙ্গবন্ধুর সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন।
আজকের আলোচনায় দিনাজপুর থেকে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর এর শিক্ষার্থী তরুণ বক্তা গোলাম মুর্শিদ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ কামালের এবং তার পরিবারের ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগস্ট ও ২১শে আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন।
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জনাব ইমতিয়াজ খান বাবুল। তিনি খেলাধূলায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের ইতিহাস তুলে ধরেন। জনাব বাবুল বলেন, খেলাধূলার প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে অবদান ও আগ্রহ ছিলো তা তাঁর দেশ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ। খেলাধূলার মধ্যে ফুটবল খেলার প্রতি বঙ্গবন্ধুর প্রবল আগ্রহ ছিলো। তিনি লোকাল অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন।
ফেন্সার মোঃ সোহেল রানা বঙ্গবন্ধুর ক্রীড়াঙ্গণে অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খেলাধূলার উন্নতি লাভের জন্য বিভিন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড গঠন করেন যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
আজকের আলোচনা সভায় রয়েল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের বিভাগীয় প্রধান এবং সহযোগী অধ্যাপক জনাব দিপু সিদ্দিক জানিপপ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মাস ব্যাপী আলোচনা সভার উদ্যোগকে স্বাগত জানান। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে জাতি রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। খেলাধূলায় জাতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য তাঁর শাসনামলেই বিভিন্ন আইন ও বিধি প্রণয়ন করেন যা ক্রীড়াঙ্গণের জন্য ইতিবাচক ছিলো।
ইউএন ডিজএবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন ও বাংলাদেশ প্রতিবন্ধি কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, আগস্ট মাস আমাদের জন্য একটি কষ্টের মাস। বঙ্গবন্ধু প্রতিবন্ধি ছেলে মেয়েদেরকে খেলাধূলায় সম্পৃক্ত করার জন্য বিভিন্ন সময় উৎসাহ প্রদান করতেন। পীরগঞ্জ, রংপুর থেকে সংযুক্ত থেকে মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানের শোষণ ও নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেন। অন্যদিকে খেলাধূলায় তাঁর প্রচন্ড আগ্রহ থাকাতে ক্রীড়াঙ্গণের জন্য বিভিন্ন আইন কানুন প্রণয়ন করেন।
জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার, লেখক, ও গবেষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুর ক্রীড়াভাবনা নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। জনাব রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর খেলাধূলার প্রতি যে প্রবল আগ্রহ ছিলো তার প্রমাণ তাঁর আত্নজীবনী বিষয়ক বিভিন্ন প্রবন্ধে উল্লেখ রয়েছে। সুস্থ ও সংস্কৃতিমনা জাতি গঠনে খেলাধূলার যে ভূমিকা রয়েছে তা তিনি উপলব্দি করে ক্রীড়াঙ্গণের সমৃদ্ধকরণে বিভিন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। যশোর থেকে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার ও গবেষক জনাব নাজমুল হক শ্রেয়াস। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু গোলাপগঞ্জ মিশনারী স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। ফলত, বাল্যকাল থেকেই খেলাধূলার প্রতি তাঁর আগ্রহের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আজকের আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে পঞ্চগড় থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার মোঃ খাদেমুল ইসলাম।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রভাষক মোঃ কামাল উদ্দিন।