শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজে ধীরগতির অভোযোগ উঠেছে। একদিন কাজ করলে ছয়দিন থাকছে বন্ধ। এতে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে কি না এ নিয়ে সংস্বয় প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট অনেকেই। জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও হলরুম সম্প্রসারন প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য এলজিইডি ঠিকাদার নিয়োগ করে। প্রায় ৭ কোটি মুল্যে এ নির্মান কাজটি পায় জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুল আলম এন্ড লাবনী এন্টারপ্রাইজ। নিয়ম অনুযায়ী ২০২১সালের ৯ জানুয়ারি কাজ শুরু করে ২০২২সালের ৯ এপ্রিল মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্তি করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারের কাজে অত্যান্ত ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, একদিন কাজ করলে নানা অজুহাতে ৬ দিনই বন্ধ থাকছে কাজ। গত ৮ মাসে ও মাটির নিচে পিলার বসানোর কাজও সম্পুর্ন হয়নি। কাজের গতি দেখে সংশ্লিষ্টদের ধারনা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি শেষও করতে পারবেন না। অথচ নির্মাণ কাজ শুরু হতে না হতেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২ কোটি টাকার বিল ছাড় করেছেন উপজেলা প্রশাসন। এনি জনমনে নানা প্রশ্নের উগ্রেব হয়েছে। অনেকেই বলাবলি করতে শুরু করেছেন ঠিকাদার কাজ না করতেই এতোটাকা বিল ছাড় করেন কিভাবে? এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলের মধ্যে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রুনু তালুকদার বলেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন ২ কোটি টাকা বিল ছাড় করা হয়নি। কম ছাড় করা হয়েছিল। পরে আবার তা ফেরত দেয়া হয়েছে।