দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি শুরুর দুই দিনের মাথায় স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। প্রকারভেদে কেজিতে দাম কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এতে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, রোববার (১৫ আগস্ট) আমদানি শুরুর প্রথম দিন পাইকারি ও খুচরা বাজারে আমদানিকৃত প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। সেই মরিচ আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি দেশীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রফিক নামে একজন ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমি কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এখন আমদানি শুরুর কারণে দাম কমে আসছে। এতে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের অনেক ভালো হয়েছে। হিলি বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা মিঠু জানান, আমদানির ফলে হিলি বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। দামও কমে আসছে। দাম কমার ফলে আমাদের বেচাকেনা বেড়েছে, ক্রেতারাও কম দামে কাঁচা মরিচ কিনতে পেরে খুশি।হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু করেছেন। ফলে বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। তবে মরিচ আমদানি করে আমাদের লাভ হচ্ছে না। বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে সরকারকে শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় ২৬ টাকা এবং অনন্য খরচ দিয়ে এক কেজি কাঁচা মরিচ আনতে গুনতে হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা। আর আমাদের দেশের বাজারেই এখন মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা।হিলি শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। দুই দিনে ভারতীয় তিনটি ট্রাকে ৩৬ হাজার ৭৮ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৯ টাকা। আমদানি বাড়লে সরকারের রাজস্বও বাড়বে।তিনি জানান,আমদানিকৃত সকল পচনশীল কাঁচা পণ্য দ্রুত ছাড়করণের জন্য মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।