চারটি ফুটফুটে সন্তানের জননী ময়না (২২) বেগম। শেরপুর নকলা উপজেলার ৫নং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বানের্শ্বদী উত্তর গ্রামের (খতিব নুর ইসলাম মুন্সি বাড়ির সামনে) হতদরিদ্র মোঃ হাতেম আলি বড় মেয়ে ময়না। অভাবের সংসার থাকায় অল্প বয়সে বিয়ে দেন রিকশাচালকের সাথে। কন্যা দায় থেকে মুক্তি নেন বাবা হাতেম। হাতেম পেশায় একজন দিনমজুর।
ময়না পরপর ৪টি সন্তানের মা হয়। সর্বশেষ সন্তানের বয়স ৫ মাস। শেষ সন্তান প্রসবের পর থেকেই ময়না হাঁটা চলা করতে পারেন না। চিকিৎসা এবং বাচ্চাদের খাবার খরচ বহন করার করতে না পেরে ময়নার স্বামী পালিয়ে যায়। ময়না এবং ৫ মাস বয়সি বাচ্চা দুইজনই খুব অসুস্থ।
২ বছরের ছোট শিশুটি খাবারের জন্য কান্নাকাটি করছে, ৩ বছরের মেয়েটা মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষুদার যন্ত্রণায় কাঁদতে কাঁদতে স্থির হয়ে মায়ের আঁচল ধরে দাঁড়িযে আছে, নবজাতক কান্না করছে- তবে শব্দকরে কান্না করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। হাঁটাচলা করতে পারে না। কী করবে ময়না ভেবে পাচ্ছে না। তার বাচ্চাদের জন্য সাহায্যের আশায় নিয়তির ওপর ছেড়ে দিয়ে আশায় বুক বেঁধে আছে। কখন কার দয়া হবে।
অসুস্থ ময়না বলেন, ছোট বাচ্চা দুধের জন্য ক্ষুদায় কান্নাকাটি করে। বুকের দুধ শুকিয়ে গেছে। গরুর দুধ কিনে খাওয়াব কী দিয়ে? আমার কাছে তো টাকা-পয়সা নেই। বড় বাচ্চাদেরই কী খাওয়ামু। আমি সাহায্যের জন্য কোথায় যাব? হাঁটাচলা করতে পারি না।
ময়নার কোনয় ঘরবাড়ি নেই। ময়নার বাবা-মা ময়নার চার সন্তান নিয়ে এক ঘরে একই বিছানায় রাত্রী যাপন করেন। ময়না সবার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তার চিকিৎসার এবং খাবরের জন্য। আবেদন জানিয়েছেন সকলে মিলে তার পাশে দাঁড়ানোর। ময়নাকে সহযোগিতার জন্য একটি বিকাশ নম্বর রয়েছে। সাহায্য করতে আগ্রহী ব্যক্তিরা বিকাশ নম্বরটি অফিস ও প্রতিবেদকের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।