শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কবিরাজপাড়া – পুটলপাড়া রাস্তার মালিঝি নদীর উপর নির্মিত বিধ্বস্ত ব্রীজটি একযুগেও নির্মান করা হয়নি। ফলে এপথে যাতায়াতকারী ১৫ গ্রামের শতশত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ পথে, কবিরাজপাড়া, পুটলপাড়া,পুরুষ-উত্তমখিলা, বেলতৈল, দরগাহপাড়া, খিলাগাঁও, দর্জিপাড়া,মন্ডলপাড়া মোল্লাপাড়া, কামারপাড়া, সরকারপাড়া, মারুয়াপাড়া, পাইকুড়াসহ ১৫টি গ্রামের শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। জানা গেছে, গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ লাঘবে ২০০৭ সালে এলজিইডি একটি ব্রীজ নির্মাণ করে। ওই গ্রামের ইয়াদ আলী,নুর মোহাম্মদ, আব্দুল করিম,মোঃ আসাদুলসহ গ্রামবাসীরা জানান, ঠিকাদার ব্রীজ নির্মাণের সময় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে ব্রীজ নির্মাণ কাজ করায় নির্মান কাজ শেষ না হতেই ১৫ দিনের মধ্যেই ব্রীজটি বিধ্বস্ত হযে পারে। এতে এসব গ্রামের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। গ্রামবাসীরা জানান, এসব গ্রামের মানুষের যাতায়াতের স্বার্থে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্সথাপনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওই বিধ্বস্ত ব্রীজের স্থানে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বিধ্বস্ত ব্রীজটি আর নির্মান করা হয়নি। এদিকে কিছু দিন যেতে না যেতেই কাঠের সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পরে। কাঠের সেতুটি ও আর মেরামত করা হয়নি। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে নড়বড়ে সেতুটি জুরাতালি দিয়ে কোনরকমে যোগাযোগ ব্যবস্তা চালু রাখা হলেও হালকা ২/৪ জন লোক চলাচল ছাড়া আর কিছুই পাড়াপাড় করা সম্ভব হয় না। এপথে প্রতিদিন শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এখানে ব্রীজটি পুনর্নিমানের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব গ্রামের শতশত মানুষের। কৃষিপন্য ও গবাদি পশু পারাপারে কৃষকদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন ওই বিধ্বস্ত ব্রীজের স্থানে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বহুবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু একযুগের বেশি সময় ধরে ও তা বাস্তবায়িত হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন বিষয়টি তার জানা নেই। জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।