সরকারী নির্দেশনা মেনে ১১ আগষ্ট থেকে সারাদেশে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত হলেও বন্ধই থাকছে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল ও পর্যটনকেন্দ্র। এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা সরকারীভাবে আসেনি।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) রাত পৌনে ১১টার দিকে কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হোটেল মোটেল কিংবা পর্যটনকেন্দ্র খোলা যাবে না। কারণ, এখনো কক্সবাজারে করোনা শনাক্তের হার ২০ শতাংশের উপরে।
হোটেল মোটেলে শুধুমাত্র অপরিহার্য ক্ষেত্রে যদি কেউ আসে, যেমন- মেডিকেল ফেসিলিটিস, ভাইভা ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে থাকার সুযোগ দেওয়া যাবে। কিন্তু বলা যাবে না যে, হোটেল খোলা হয়েছে। এটিই সরকারী সিদ্ধান্ত।মঙ্গলবার বৈঠকে এমন কোন সিদ্ধান নেওয়া হয় নি। পর্যটক, পর্যটনসহ হোটেল মোটেল বন্ধ থাকবে।জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল থেকে জানানো হয়-সৈকতসহ সকল পর্যটন স্পট পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কেবল অপরিহার্য ও আবশ্যক কারণে (রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কাজ, সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ, মানবিক সহায়তা সংশ্লিষ্ট কাজ, ব্যক্তিগত অত্যাবশ্যক ও অতি জরুরি কাজ) আবাসিক হোটেলে অবস্থান গ্রহণ করা যাবে। তবে রেস্টুরেন্টে বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না। রুম সার্ভিস গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে।জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল থেকে জানানো হয়-সৈকতসহ সকল পর্যটন স্পট পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কেবল অপরিহার্য ও আবশ্যক উল্লেখ্য, করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ ৫ আগস্ট থেকে বাড়িয়ে নতুন করে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।৩ আগস্ট করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিন নেয়ার শর্তে ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত হয়।