অযৌক্তিক দাবীতে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী কতিপয় শ্রমিকের বিরুদ্ধে প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ায় টঙ্গীর একটি পোশাক কারখানায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার কারখানায় চড়াও হলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে শিল্প পুলিশের ৫ সদস্য ও ৩ জন আনসার সদস্যসহ অর্ধ শতাধিক শ্রমিক আহত হন। গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাদাম এলাকায় অবস্থিত ক্রসলাইন নীট ফেব্রিক্স কারখানায় এ সংঘর্ষ হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর এসপি সিদ্দিকুর রহমান জানান, গত ঈদের আগে ঈদ বোনাস ছাড়াও জুলাই মাসের আগাম ১৫ দিনের বেতন দাবী করেছিল শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ ঈদ বোনাস দিলেও শ্রম আইন বর্হিভূত হওয়ায় ১৫ দিনের আগাম বেতন দিতে রাজি হয়নি। ফলে এনিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। অযৌক্তিক এ দাবীতে কয়েক জন উশৃংখল শ্রমিক কারখানার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ১৭ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে তাদেরকে ছাঁটাই করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নারী শ্রমিক পাওনা না নিয়ে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শ্রমিকদের উস্কে দেয়। গুজবে কান দিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টায় কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে শ্রমিকরা পুলিশের ওপরও চড়াও হয়। অবশেষে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ২১ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস, ৫৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৩টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
#