শেরপুর: সারাদেশের ন্যায় নালিতাবাড়ীতে কঠোর লকডাউনের ১৪ দিন শেষ হয়েছে। প্রশাসন কর্তৃক অভিযানে সরকারি নির্দেশনা সহ স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার দায়ে ২৩৯টি মামলায় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার একশত পঞ্চাশ টাকা জরিমানা আদায় করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রায় ৯০ ভাগ মামলা ও জরিমানা হয়েছে লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ অমান্য করায়। লকডাউন চলাকালিন সময়ে অননুমোদন পলিথিন বিক্রির দায়ে মামলা, জরিমানা সহ অন্যান্য মামলার সংশ্লিষ্ঠতা রয়েছে বলে জানা যায়। পবিত্র ঈদুল আযহার জন্য আট দিনের লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। শিথিল লকডাউনের প্রথম দিনেই নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দিয়েছে। শহর অলিগলি বিভিন্ন সড়কে জনসমাগম ছিল। খুলেছে দোকান পাট, চলেছে পরিবহণ। স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই ছিল না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নালিতাবাড়ী পৌর শহরের দক্ষিণ বাজার, মধ্যবাজার, উত্তরবাজার, গড়কান্দা, আড়াই আনি বাজার, ভোগাই ব্রিজ সহ বেশ কিছু এলাকায় যানজট। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দোকানপাট ও সড়কের পাশ দখল করে ফুটপাতে চলেছে বেচাকেনা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশির ভাগের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায় নি।
১৪ দিনের কঠোর লকডাউনে নালিতাবাড়ীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হেলেনা পারভীন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা বিশ্বাস , নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান। গত ১লা জুলাই শুরু হওয়া লকডাউন শাটডাউনের মোট ১৪ দিনে কঠোর বিধি নিষেধ উপক্ষা করে অনেকেই গুনেছেন মোটা অঙ্কের জরিমানা। বেশিরভাগ জরিমানা হয়েছে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসনের আড়ালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসার কাজ পরিচালনা করা। বিনা প্রয়োজনে বাজারে ঘোরাফেরার দায়ে অনেকেই এই জরিমানা দিয়েছেন বলে জানা যায়। লকডাউনের ১৪ দিনে প্রশাসন কর্তৃক অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন বলে অনেকের দাবী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেলেনা পারভীন বলেন, কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে প্রশাসনিক সকল প্রচেষ্ঠা আমরা পরিচালনা করেছি। দেশের অন্যান এলাকার তুলনায় নালিতাবাড়ী উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখা কিছুটা কম থাকায় আমরা স্বাস্থ্যসচেতনা বৃদ্ধিকল্পে কাজ চালিয়েছি। সবার আগে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার পর মানুষের অন্যান্য বিষয় নজরে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর। লকডাউন বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ব্যাটলিয়ন সহ সকলেই সহযোগিতা করেছেন।
নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান, সরকার লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করেছি এবং সরকারের যে উদ্দেশ্য ছিল তা বাস্তবায়নে আমরা ভূমিকা রেখেছি। তিনি আরো বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা সফল।