শেরপুরের নকলা উপজেলার ৮২ জন গ্রাম পুলিশদের মাঝে স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে নতুন পোষাক ও নতুন বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে ১৪ জুলাই বুধবার উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করে এক বিতরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন পোষাক ও বাইসাইকেল বিতরণ কার হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান-এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) এ.টি.এম জিয়াউল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গ্রাম পুলিশদের হাতে এসব তুলেদেন। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহাম্মেদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) এ.টি.এম জিয়াউল ইসলাম জানান, সাইকেল গুলো দুরন্ত কোম্পানীর সার্টিফাইড সাইকেল। প্রায় সারাদেশের গ্রামপুলিশদের এই কোম্পানীর সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। এগুলো বক্সবন্ধি আকারে এসেছে, পরে স্থানীয় ভাবে ফিটিংস করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশদের ব্যবহারের পূর্বে ভালো ভাবে গ্রীজ, টিউবে গার্টিস, চেইন লকারসহ সার্ভিসিং করে নিতে বলা হয়েছে। আর যদি কোন সমস্যা থাকে ওয়ারেন্টি পিরিয়ডে তা সমাধান যোগ্য বলে তিনি জানান।
বিতরণ অনুষ্ঠানের পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) এ.টি.এম জিয়াউল ইসলাম নকলা পৌর এলাকার পাইস্কা গরুর হাটে গিয়ে ইজারাদারকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে গরুর হাট পরিচালনার জন্য পরামর্শমূলক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এরপরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের কাছে হস্তান্তরকৃত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার “ক” শ্রেণির ঘর পরিদর্শন করতে গিয়ে উপকারভোগীদের সার্বিক খোঁজ খবর নেন তিনি।
এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, ইউএনও জাহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহাম্মেদ, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে শেরপুর জেলায় “ক” শ্রেণির পরিবার হিসেবে এক হাজার ৩৩৩টি পরিবারকে চূড়ান্ত ভাবে বাছাই করা হয়েছে। এই ১,৩৩৩টি পরিবারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৯১টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬৭টি পরিবারের জন্য যথাযথ ভাবে ঘর নির্মাণ পূর্বক তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নকলায় “ক” শ্রেণির পরিবার রয়েছে ৩৩৫টি; এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫৮টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪২টি ঘর নির্মাণ শেষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উপজেলা প্রশাসন উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।