গাজীপুরের শ্রীপুরে কাওরাইদ মধ্য পাড়া গ্রামের বিধবা কুলসুম কে বসত ঘর উপহার দিলেন ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন অনন্ত।
শুক্রবার (৯) জুলাই কাওরাইদ ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে গিয়ে বিধবা কুলসুম কে ১ মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ সামগ্রী দিয়ে আসেন ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন অনন্ত।
বসত ঘর এবং খাদ্য সামগ্রী পেয়ে বিধবা কুলসুম বিবি আবেগ আল্পুত কন্ঠে বলেন, স্বামী মারা গেছেন গত ১১ বছর আগে, একমাত্র ছেলেকে নিয়ে পলিথিন টানিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুরে বসবাস করতাছি। অনেকেই আশা দিছে ঘর বানাইয়া দিবো, কিন্তু কেউ দেয় নাই। এহন সাদ্দাম বাবা মানবিকতায় আরামে থাকার মতো একটা ঘর পাইছি। থাকার আর চিন্তা, রোদে পুরোর লাগতো না, বৃষ্টিতে ভিজোন লাগতো না। সাথে চাল, ডাল, তেল, সাবান, পেয়াজ, রসুন, আদা, সেমাই, চিনি, লবন, পাইছি। ছেলেকে নিয়া অনেক দিন খাইবার পারাম। আমি অনেক খুশি, সাদ্দাম বাবা সব দিছে। তিনি অনন্দের অশ্রু ঝরা চোখে বলেন সাদ্দাম বাবা রে আল্লাহ অনেক দিন বাচাইয়া রাহোক।
সাদ্দাম হোসেন অনন্ত গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার , ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের, ধনুয়া গ্রামের কৃতি সন্তান। ইতি পূর্বে বিভিন্ন ছিন্ন মূল মানুষ কে ঘর করা সহ অনেক সামাজিক উন্নয়ন মুলক কাজে অবদান রেখেছেন সাদ্দাম।
স্থায়ী রাহাদ অকন্দ জানান, কুলসুম বিবির একমকত্র ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন পলিথিন টানানো ঘরে। কুলসুম বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলক থানার দত্তের বাজার ইউনিয়ননের কন্যামন্ডল গ্রামের মৃত আব্দুল রহমান শেখের মিয়ার মেয়ে। বাবা ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কুলসুম বিবি এবং তার স্বামী একই দ এলাকার বাসিন্দা ছিল, কুলসুম বিবির বিবাহের পর স্বামীকে নিয়ে, কাওরাইদ মধ্যপারা ৩.৫০ শতাংশ জমি কিনে সংসার শুরু করেন। তাদের সাংসারিক জীবনে একটি পুত্র সন্তান হয়। স্বামী ঠেলা গাড়ি চালিয়ে জীবন যাপন করতেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে স্বামী মারা যান, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে পলিথিন টানানো ঘরে কাটিয়েছে অনেক টি বছর।
স্থায়ী একটি ফেসবুক আইডি থেকে (রাহাদ আকন্দ) বিস্তারিত তুলে ধরে। ফেসবুক স্ট্যাটার্স মানবিকতার হাত বারিয়ে দেখে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ধনুয়া গ্রামের তরুন ব্যাবসায়ী সাদ্দাম হোসেন অনন্ত।
সাদ্দাম হোসেন অনন্ত সভাপতি, এসোসিয়েশন অফ টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, গাজীপুর। তিনি সরজমিনে গিয়ে কুলসুম বিবির করুণ অবস্থা দেখে, নিজ উদ্যোগে থাকার জন্য একটি টিন সিটের বসত ঘর এবং ১ মাসের খাদ্য সামগ্রী প্রধান করেন।
এ ব্যাপারে সাদ্দাম হোসেন অনন্ত বলেন, আমি আমার সার্মথ থেকে মানবিক কারণে ব্যক্তিগত ভাবে একটি ঘড় উপহার দেই। কোন সার্থের জন্য নয়, আল্লহর সন্তষ্টি জন্য সেবাই সর্ব উত্তম ধর্ম এটাই ইসলাম এবং কুরআন বলছে। তাই আমার জায়গা থেকে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।।