সারাদেশের ন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে প্রশাসন কর্তৃক অভিযানে মাস্ক পরিধান না করা এবং সরকারি নির্দেশনা সহ স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার দায়ে ১৩টি মামলায় ৫৮ হাজার ৯শত টাকা জরিমানা প্রদান করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে নালিাবাড়ী উপজেলার পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক, কাঁচা বাজার ও গরুর হাটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান। এসময় ১৩টি মামলায় ৫৮ হাজার ৯শত টাকা নগদ অর্থ জরিমানা করেন। যার মধ্যে গরুর বাজারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না করায় ইজারাদারকে ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ জরিমানা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন ১২ আনসার ব্যাটলিয়নের সহকারী পরিচালক আল-আমিন ও সার্কেল এডজুট্যান্ট জাহাঙ্গীর আলম। অভিযানে সহযোগিতা করেন সেনাবাহিনী ক্যাপ্টেন তাহসিন সহ একদল সেনা সদস্য। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন সেনাবাহিনী ও ১২ আনসার ব্যাটলিয়ন।
এসময় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে জরুরী পণ্যর দোকান পাট খোলার নির্দেশ দেয়া হয় । অভিযানে পথচারিদের মুখে মাস্ক পরিধান করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে নানা বিষয়ে সচেতন করেন।
কাঁচা বাজার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে লোকজন স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে এবং এক সাথে অনেকেই বাজার করতে আসেন যাদের অনেকেই মাস্ক বিহীন অবাদে চলাচল করছে। যেসকল দোকান/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানোর নির্দেশনা রয়েছে তাদের অনেকেই মাস্ক পরিধান না করেই ব্যবসার কাজ পরিচালনা করছেন। লোকজন দোকান গুলোতে ভীড় জমান। এদের অনেকেরই স্বাস্থ্যবিধি ও মুখে মাস্ক এর ব্যবহার না থাকায় অনেককে গুনতে হয়েছে অর্থ জরিমানা। লকডাউনের ষষ্ঠ দিন মঙ্গলবার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখার দায়ে ও স্বাস্থ্য বিধি অমান্যকারী ব্যক্তিকে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন অনুযায়ী মোট ৫৮ হাজার ৯শত টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৩টি মামলা দেয়া হয়েছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ১২ আনসার ব্যাটলিয়নের সহকারী পরিচালক আল-আমিন।
লকডাউন শুরুর ১ম দিন থেকে নালিতাবাড়ী শহরের বেশীর ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে তবে কিছু কিছু দোকানপাট অর্ধেক শাটার ডাউন করে বসে থাকে এবং ক্রেতা আসলে বিক্রি করে শাটার ডাউন করে অপেক্ষা করে কখন প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিছু কিছু ব্যবসায়ী বলেন দীর্ঘদিন যাবত দোকানপাট বন্ধ রাখলে তাদের কর্মচারী দোকান ভাড়া সহ বিভিন্ন বেতন-ভাতা দিতে তারা হিমসিম খাচ্ছে। সরকার যেন খুব দ্রুত ব্যবসায়ীদের দিকে সু-নজর দেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের একমাত্র চাওয়া।