বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উজিরপুরের কিশোর কেরানীগঞ্জে দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত তাড়াশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পোড়ানো হলো চায়না জাল। তাড়াশে মালশিন টু গুড়মা কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ কালিয়াকৈরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া সাইজুদ্দিন, ত্যাগি নেতা কর্মীরা হতাশ গাজীপুরে বিশ্ব মান দিবস পালন শ্রীবরদীতে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ১৫ ই অক্টোবর ২০২৪ পালিত বেনজীর সহ সকল ভূমি দস্যুদের কবল থেকে লুন্ঠিত বনভূমি উদ্ধারে ৩ দফার আল্টিমেটাম ব্যবসায়ী কবির হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বিরামপুরে ট্রাক্টর-ভ্যানের সংঘর্ষে বৃদ্ধের মৃত্যু শ্রীবরদীতে ১৩ মণ্ডপে দূর্গাপুজা উদযাপন নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ সুপারের পরিদর্শন

বন্য প্রাণীদের চলাচলের সুবিধার্থে সেতু তৈরি করলেন জবির দুই শিক্ষার্থী | সময়ের দেশ

রাকিবুল ইসলাম রিয়াদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

সিলেট অঞ্চলে বন্যপ্রাণীদের চলাচলের জন্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষার্থী নির্মাণ করেছেন কৃত্রিম সেতু।
বনাঞ্চলের ভেতরে সড়ক বা বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে প্রাইমেট বা বানর-হনুমান জাতীয় প্রাণীদের রক্ষা করার জন্যেই নির্মাণ করা হয়েছে এই সেতু।

যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মান দাতা সংস্থার অর্থায়নে সাতছড়ি বনে বিশেষ তিনটি কৃত্রিম সেতু নির্মাণ করেছেন গবেষক দম্পতি হাসান আল-রাজী ও মার্জান মারিয়া।

তাদের মধ্যে হাসান আল রাজী চয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মার্জান মায়িয়া একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সম্প্রতি এই দম্পতি বাংলাদেশে নতুন প্রজাতির এক ব্যাঙের অস্তিত্ব আবিষ্কার করে আলোচিত হয়েছেন।

ব্রিজ নির্মাণকারী গবেষকরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনা এবং তড়িতায়িত হওয়া বন্যপ্রাণীদের জন্য প্রধান হুমকিগুলোর মধ্যে একটি। বৈশ্বিক উন্নয়ন যেমন মানব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, অন্যদিকে কিছু ক্ষেত্রে এই উন্নয়ন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের পরিবেশের জন্যেও। বিশ্বব্যাপী বনাঞ্চলকে ব্যবহার করে নির্মিত হচ্ছে সড়ক-মহাসড়ক ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা। ফলে বনের একদিক থেকে অন্যদিকে বিচরণের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে বন্যপ্রাণীরা। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এমন ঘটনা বাড়ছে।

গবেষক হাসান আল রাজী বলেন, “২০১৫-১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রাইমেট জাতীয় প্রাণী সড়ক দুর্ঘটনা এবং তড়িতায়িত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করি। ওই সময় বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের সাতছড়ি ও লাউয়াছড়া বনে প্রাণী মৃত্যুর সংখ্যা পাই সবচেয়ে বেশি। এতে দেখা যায়, ২০১৫-১৭ পর্যন্ত সাতছড়ি বনে বিভিন্ন প্রজাতির ১৪টি এবং লাউয়াছড়াতে ১৩টি প্রাইমেট সড়ক দুর্ঘটনা এবং তড়িতায়িত হয়ে মারা যায়। তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে আর্ন্তজাতিক জার্নাল ‘জুলজিয়াথতে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করি। এরপরই কাজ শুরু করি প্রকল্পটি নিয়ে।”

গবেষণাপত্রটিতে উঠে আসে, দুর্ঘটনায় প্রাণীদের মৃত্যুর মধ্যে লম্বালেজী হনুমানেদের সংখ্যা সবথেকে বেশি। গবেষকদের ধারণা, লম্বালেজ বিশিষ্ট হনুমানগুলো বৈদ্যুতিক তার দিয়ে চলাচলের সময় তাদের লেজ দুই তারের মাঝে বৈদ্যুতিক সার্কিট পূরণ করে, এতে দ্রুত তড়িতাহত হয়ে মারা যায় প্রাণীটি। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সাতছড়ি বনে থআর্টিফিশিয়াল ক্যানোপি ব্রিজ ফর কনজারভেশনথ প্রকল্প হাতে নেয় গবেষকরা।

প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল সাতছড়ি বনে রাস্তার পাশের গাছগুলোতে কৃত্রিম ব্রিজ তৈরি করে চলাচলের সংযোগ করে দেয়া। যাতে প্রাণীরা নিরাপদে পারাপার হতে পারে।

প্রকল্প পরিচালনায় আর্থিক সহায়তায় করে থএক্সপ্লোরার ক্লাবথ নামের আমেরিকান এবং পামপলরিস ই. ভি. নামের জার্মানভিত্তিক একটি দাতা সংস্থা। যারা বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও প্রাণী সংরক্ষণের কাজে অর্থায়ন করে আসছে।

গবেষক মারজান মারিয়া জানায়, “ব্রিজ নির্মাণে আমরা বনবিভাগের সহায়তায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করি। ২০২০ সালের ১লা নভেম্বরে ব্রিজগুলো স্থাপনের কাজ শেষ হয় এবং বন্যপ্রাণীদদের চলাচল পর্যবেক্ষণের জন্যে ব্রীজের ক্যামেরা ট্র্যাপিং স্থাপন করা হয়।চ্

তিনি আরো বলেন, “চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে দুথসপ্তাহ পর পর ক্যামেরা ট্র্যাপিং থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হয়। ইতোমধ্যেই আমরা বেশকিছু বন্যপ্রাণী চলাচলের ছবি পেয়েছি। যাদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বানর, হনুমান এবং বিভিন্ন ইঁদুরগোত্রীয় প্রাণী।

গবেষক হাসান আল রাজী বলেন,“বাংলাদেশে এমন আরো বন আছে, যেগুলোর মধ্য দিয়ে মহাসড়ক এবং বৈদ্যুতিক তার রয়েছে। সেখানেও যদি কৃত্রিম ব্রিজ নির্মাণ করা হয় তবে বন্যপ্রাণীদের মৃত্যু সংখ্যা কমানো সম্ভব। যা এ দেশের জীববৈচিত্র সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।”

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১০ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ১৭:১৫ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৩৪ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102