টঙ্গীর তিলার গাতি এলাকায় নেশা করতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রী মৌসুমি আক্তার(২৮)য়ের ২হাতের কব্জির রগ কেটেদিল পাষণ্ড স্বামী শাহজাহান মিয়া (৩২) এসময় মাথার পিছনে ডান পাশে ও ডান চোখে আগাত করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় আসেপাশের লোকজন মৌসুমি আক্তার কে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকা বাসি জানান, তিলার গাতি এলাকার মোস্তফা মিয়ার একমাত্র মেয়ে মৌসুমি আক্তার। দীর্ঘ ৯ বছর আগে একই এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান মিয়ার সাথে ধুমধাম করে বিয়ে দেন। বিয়েতে এলাকার গণ্যমান্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের ২/৩ বছর পরপরই শাহজাহান মিয়া সঙ্গদোষে আসক্ত হয়ে পড়েন এবং নেশা করে এসে মৌসুমি আক্তার কে অমানবিক নির্যাতন করেন,। এরি মাঝে ২সন্তানের মা হয়ে জান মৌসুমি। সন্তানদের কথা চিন্তা করে স্বামী শাহজাহান মিয়া কে ভালো করতে – এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে উঠে পড়ে লাগছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টায় মানুষ যখন জুম্মার নামাজ আদায় করিতে মসজিদে যায়, এমন সময় শাহজাহান মিয়া একা ঘরে বসে নেশা করছে।এতে স্ত্রী মৌসুমি আক্তার দেখে ফেলে এবং স্বামী শাহজাহান মিয়া কে নেশা করতে বাধা দেয়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাজাহান মৌসুমিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং দুই হাতের কব্জির রগ কেটে দেয় এবং চোখ দিয়ে দেখে বলে চোখ নষ্ট করতে ডান পাশের চোখে আগাত করে। গুরুত্বর আহত অবস্থা মৌসুমি কে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলে।লকডাউন থাকায় তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৌসুমির বাবা মোস্তফা মিয়া জানান আমার একমাত্র মেয়ে মৌসুমি আক্তার, তাকে বিয়ে দিয়েছি আমার ২টি ফুটফুটে নাতনি আছে। মেয়ে এবং নাতনি কে আমি ই ভরনপোষণ সহ যখন যাহা লাগে দেই।মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে যখনই যাহা লাগবে আমি অপূর্ন রাখিনা। এযাবৎ বিয়ের পর থেকে নগদ টাকা সহ অনেক কিছু দিয়েছি,। আমার একমাত্র মেয়ের সুখের জন্য আমি সব কিছুই দিতে পারি। এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।