বরিশালের সর্বনাশা সুগন্ধা নদী ভাঙনে গত বুধবার, ৩০শে জুন, ২টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। আরো ৪টি পরিবার হুমকির মূখে রয়েছে । তবে বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে নদী গর্ভে বিলীনের ৩দিন পার হলেও নিঃস্ব পরিবারগুলোর খোঁজ নেয়নি কেউ!
পরিবার দুটি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের উত্তর রাকুদিয়া গ্রামের।
জানা যায়, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হঠাৎ সুগন্ধা নদীর ভাঙনে দেবে যায় বরগা চাষী আনিসুর রহমানের শেষ সম্বল ঘরসহ ১২শতক জমি। শেষ সম্বল জমি ও ঘর হারিয়ে ৫সদস্যের সংসার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছেন তিনি। তারা এখন প্রতিবেশিদের ঘরে রাত্রি যাপন করছে।
আনিসুর রহমান বলেন, ( ৩০জুন ) বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির সামনে ফাটল ধরেছে। মূহূর্তেই বিলীন হতে শুরু করে জমিসহ গাছপালা। তখন মসজিদের মাইকে নদী ভাঙনের খবর ঘোষনা দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে আমার ঘরটি কোন রকম সরিয়ে নিতে সক্ষম হলেও হাসমুরগীসহ সবকিছু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়থ। পাশাপাশি এমএ হক হাওলাদারে ভিটাবাড়ি বৃহস্পতিবার নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। এছাড়া মামুন হাওলাদারের ঘরসহ নদী নিকট বর্তী ৪টি পরিবার ভাঙন আশংকায় হতাশার জীবন কাটাচ্ছে। হুমকির মূখে রয়েছে চরসাধুকাঠি সিনিয়র মাদ্রাসা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতে একমাত্র রাস্তা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গত মার্চ মাসে সন্ধ্যা ও সুগন্ধা নদীর ভাঙন ঠেকাতে কোটি টাকার সরকারের নেয়া বাশের বেড়া/পাইলিং প্রকল্প কোন কাজে আসেনি। বাসের বেড়া দেওয়ার ৩মাসের মাথায় ওই এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এদিকে ভাঙন কবলিতদের কেউ কেউ খোঁজ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ জনগন।