টানা বর্ষণ আর উজানে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা ।
সোমবার ২৮ জুন থেকে শুরু হওয়া গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি গত ২৯ জুন রাত থেকে ভারি বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত শুরু হওয়ায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছিল।
আজ ৩০ জুন বিকাল পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম শহরের সমতল ভুমি সহ অনেক বসতভিটা।
বুধবার ৩০জুন সরেজমিনে দেখা গেছে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ের পানিতে অনেক বাড়িঘর, মসজিদ, শহরের বাজার, সরকারি গোডাউন, স্কুল, মাদ্রাসা, গোরস্তান সহ অনেক জায়গায় পানি প্রবেশ করায় দেখা দিয়ে চরম বিপর্যয়। বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটলে উপজেলায় নেমে আসে অন্ধকারের প্রতিচ্ছবি। পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে ভোগাই নদে বেড়ে যাওয়া পানি শহরের বসতবাড়ি ও বাজারের মূল রাস্তার অনেক জায়গায় প্রবেশ করেছে। পৌর সভার নিজপাড়া নদীর পাড় ভেঙ্গে আশেপাশের বসত বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় দেখা দিয়েছে আতংক। পুরাতন জেলখানা মোড় থেকে বান্দের বাজার সড়ক, বালুঘাটা থেকে শেরপুর মেইন রোড, আড়াইআনী, তারাগঞ্জ মধ্য বাজার, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বাজারস্থ বাংলালিংক টাওয়ার রাস্তা সহ কয়েকশো বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ভোগাই নদীতে ধেয়ে আসছে বছরের প্রথম পাহাড়ি ঢল, পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে যাচ্ছে, রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি সকাল ৯টা পর্যন্ত ২২৫ মি.মি যা গত ১০ বছরের রেকর্ড, এতে প্রায় সকল এলাকা প্লাবিত হবার আশংকা করা হচ্ছে।
এদিকে হঠাৎ ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ের পানিতে অনেক পুকুর ও মাছ চাষের ফিশারি তলিয়ে যাওয়ায় অন্যত্র মাছ চলে গেলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন অনেকেই।