সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের প্রধান সড়কে চিহ্নিত দূবৃর্ত্তরা হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদ মাহমুদ আলীর ফুফাত ভাই এবং এক কর্মীকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, ১৯জুন (শনিবার) রাত সোয়া ১০টারদিকে হ্নীলা নাফ ফিলিং ষ্টেশন হতে ২টি মোটর সাইকেল নিয়ে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদ মাহমুদ আলীর বন্ধু, টেকনাফ উপজেলা মানবিক সোসাইটির সভাপতি এবং হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক ইমরান খানকে জাদিমোরা নয়াপাড়াস্থ বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ফিরে আসার পথেই হ্নীলা এ্যাকোয়া কালচার সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্রীজে চিহ্নিত দূবৃর্ত্তরা গাড়ি গতিরোধ করে মুঠোফোন কেড়ে নেয়। এরপর মোটর সাইকেলে থাকা চেয়ারম্যানের ফুফাত ভাই হ্নীলা ঊলুচামরীর শওকত আলীর পুত্র মোঃ সওয়ার (৩২) এবং উলুচামরী লামার পাড়ার ছৈয়দ নুরের পুত্র মোঃ নুর (৩৫) হাতে ও পায়ে গুলি করে। যাওয়ার সময় দূবৃর্ত্তরা মোঃ নুরকে মারলে ৫লাখ পাবে বলে চিৎকার দেয়। পরে এই ঘটনার খবর পেয়ে লোকজন গুলিবিদ্ধদেও দ্রুত উদ্ধার করে লেদা আইএমও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভিকটিমদের সাথে কথা বলেন। এদিকে ভিকটিমদের একজন গুলিবর্ষণকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে সনাক্ত করতে পেরেছে বলে দাবী করেন। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, সড়কে গুলিবিদ্ধরা আমার ফুফাত ভাই, একনিষ্ট কর্মী ও বন্ধু। হয়তো আমার বিরোধী কোনপক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার নৌকার পক্ষে কাজ করার অপরাধে আহতদের হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন,এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত ঘটনা। এই ব্যাপারে অভিযোগ পেলে জড়িতদেও বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
(বিজ্ঞাপন)