বাংলাদেশে করোনা শুরু হয় গেল বছর মার্চের শেষের দিকে। স্বভাবতই তখন থেকেই সরকারি, বেসরকারি সকল চাকুরির নিয়োগ কমতে শুরু করে।করোনা বিস্তার রোধে সরকারি বিধিনিষেধ রক্ষা করতেই সকল সরকারি, বেসরকারি নিয়োগ, নিয়োগ পরীক্ষায় স্থগিত করে দিয়েছে কতৃপক্ষ।
দেশে করোনাভাইরাস এর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই সকল প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান গুলো কর্মী ছাটাই শুরু করেছে। নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ থাকার কারণে জট লেগেছে বিসিএসেও।
করোনা মহামারীতে সকল শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার কিন্তু চাকুরীতে প্রবেশের বয়স তো স্থির নেই।
এমতাবস্থায় চাকুরিপ্রার্থী তরুণরা খুব হতাশ ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পরেছে। আগামী জুলাই মাসে ৩০ বছর পূর্ণ হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তর শেষ করা এক শিক্ষার্থীর।
চাকুরী তে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যাবে তার।
তিনি সময়ের দেশ কে জানান স্বাভাবিক ভাবে যদি চাকুরির নিয়োগ, পরিক্ষা চলমান থাকতো তাহলে এতদিনে তিনি ২০/২৫ টা চাকুরির পরিক্ষায় অংশগ্রহণ এর জন্য আবেদন করে ফেলতাম।
অপরদিকে তার দাবী সরকারও চাকুরী প্রার্থীদের ব্যাপারে নীরভ ফলে হতাশায় পড়েছেন তার মত লাখ লাখ মেধাবী তরুণ।
এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিপ্রার্থী আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান করোনার দ্বিতীয় ঢেও শুরুর পর চাকুরির নিয়োগ কমেছে ৫০ শতাংশ, গত এপ্রিলে বিধিনিষেধ জারির পর তিতাস গ্যাস,সিলেট গ্যাস ফিল্ড,সেতু বিভাগ, পল্লি বিদ্যুৎ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) রেলপথ মন্ত্রণালয় সহ আরো কয়েকটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত করেছে। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক (মাউশি)অধিদপ্তরের প্রায় চার হাজার লোক নিয়োগের একটি পরিক্ষা আটকে গেছে।
এসময় চাকুরিপ্রার্থীরা জানান অন্তত সরকারি চাকুরির নিয়োগ গুলো চলমান থাকলে প্রার্থীদের মনে আশার সঞ্চার হতো।