স্থগিত হওয়া পরীক্ষা সমূহ নিতে শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলনের মুখে গত ৩ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহার সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য, ডিন ও বিভাগ সভাপতিদের সমন্বিত এক বৈঠকে শিক্ষার্থীদের স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগসমূহ পরীক্ষা আয়োজনের তারিখও ঘোষণা করেছে। ফলে পরীক্ষা দিতে রাজশাহী আসতে শুরু করে দীর্ঘসময় বাড়িতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ লকডাউনে পরীক্ষা হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চিয়তায় আছে শিক্ষার্থীরা। ঈদের আগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কি না সে বিষয়ে সন্দিহান তারা।
এ ব্যাপারে ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুইরেন্স বিভাগের জাহিদুল ইসলাম জাহিদ নামের এক শিক্ষার্থী জানায়, তার বিভাগের ২০১৯ সালের পরীক্ষার তারিখ চলতি মাসের শেষে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু লকডাউন পড়ায় এখন দ্বিধাদ্বন্দে দিন কাটছে তাদের। এতে পড়াশুনার ব্যাঘাত হচ্ছে বলে জানায় সে,এছাড়াও একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী লিমন আহম্মেদ জানায় তারা কয়েকজন ইতিমধ্যে মেস নিয়ে বিপাকে পরেছে কারণ পরিক্ষা কি ঈদের আগে আদৌ হবে কি না এই নিয়ে নানা উৎকন্ঠায় দিন পার করছে তারা।
এই বিষয়ে ব্যাবসা অনুষদের ডিন প্রফেসর এম হুমায়ুন কবির বলেন, পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলে পরীক্ষা পেছাইতেই হবে। আগে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত ছিল এখন তা করা যাচ্ছে না ফলে পরীক্ষা পেছানো ছাড়া উপায় নেই।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, আজ কালের মধ্যে আমার বিভাগে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসবে। ইতিমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের রাজশাহী না আসার জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আটকে থাকা পরীক্ষা নিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল কিন্তু তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবার আগে।