সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন মৌলভীবাজার সীমান্ত পয়েন্ট হতে ভাসমান অবস্থায় ৩জন নারী-শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
১২জুন (শনিবার) দুপুর দেড়টারদিকে টেকনাফ মডেল থানা ও হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির বিশেষ দল হ্নীলা মৌলভী বাজার সীমান্ত পয়েন্ট হতে বেড়িবাঁধের কিনারায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় কুতুপালং ক্যাম্পের আব্দুস সালামের মেয়ে সমজিদা (৩৫),৬বছর ও ২বছরের দুই মেয়ে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিবন্ধন কার্ড পাওয়ায় মৃতদেহ সমুহ রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে ঝাঁকি জাল নিয়ে মাছ শিকারী নবী হোসেন নামে এক জেলে জানান,সে মিনাবাজারের পূর্বে নাফনদীতে ভাসমান অবস্থায় ৩জন নারী-শিশুর মৃতদেহ দেখতে পায়। তখন আমি ভয়ে চলে আসি। এখন দেখছি পুলিশ এসে এখান থেকেও ৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করছে।
এই খবর পেয়ে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান,গত ৩বছরের অধিক সময় নাফনদীতে মাছ শিকার ও যেকোন ধরনের নৌকা চলাচল বন্ধ থাকার পরেও কিভাবে এসব মৃতদেহ আসে? তা খতিয়ে দেখে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান জানান,টেকনাফের নাফনদী হতে ভাসমান অবস্থায় ১নারী ও ২ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।