জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মোট শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে প্রায় ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।
দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক তথ্য জানতে চেয়ে গত ৩ জুন এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জবি প্রশাসন।
১০ জুন রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন পর্যন্ত জবির ৬৫শতাংশ শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণের জন্যে আবেদন করেছেন।
শুক্রবার (১১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক এন্ড আইটি দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৪৫৪ জন টিকার জন্য আবেদন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, ইনস্টিটিউট, এম. ফিল. ও পিএইচডি শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বমোট ১৪৫৬৫ জন। এর মধ্যে আবেদন করেছে প্রায় ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। রেজিস্ট্রেশনের শেষ সময় অর্থাৎ গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত পর্যন্ত এ আবেদনের সংখ্যা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আবেদনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অপাতত এখনকার জন্য নিবন্ধনের সময় শেষ। তবে আমাদের কিছু শিক্ষার্থী বাকি আছে। রবিবার দেখা যাক কি সিদ্ধান্ত হয়। আর যারা এনআইডির জন্য আবেদন করতে পারেনি, তাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিবে।থ
টিকার জন্য আবেদন না করার সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, এনআইডি কার্ড না থাকা। এনআইডি ছাড়া টিকার রেজিস্ট্রেশন করা যায়নি। অনেক শিক্ষার্থীর এনআইডি নেই। আবার অনেকে এনআইডি করতে দিলেও এখনো হাতে পাননি। এ নিয়মের জন্যই রেজিস্ট্রেশন থেকে বাদ পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কবে টিকা দেওয়া হবে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানে। যাদের এনআইডি নেই তাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে জানাব।থ
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের মধ্যে থেকে এ আবেদন গ্রহন করা হয়েছে।