স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নে মাৎস প্রকল্প ও বাঁধ নির্মাণে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব।
গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নের চিলনী ও রোসাদিয়া এলাকায় মাছের প্রকল্প ও বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে অভিযোগ উঠেছে, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খান নাকি মাছের প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাঁধ নির্মাণ করে জমি দখল করছেন। তবে চেয়ারম্যান এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খান বলেন, “চিলনী ও রোসাদিয়া গ্রামের মধ্যে একটি সংযোগ সড়ক দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থানীয় জনগণের। শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগী ও সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে সড়কটি নির্মাণ করেছি। এটি ছিল আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। এর সঙ্গে মাছের প্রকল্পের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি আরও দাবি করেন, “এই রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে আমি ইউএনও-কে কোনো ঘোষণা দেইনি, কারণ এটি জনগণের উপকারে করা হয়েছে। তবে কেউ এটিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে।
সম্প্রতি মাছের প্রকল্প নিয়ে মৎস্যজীবীদের একটি কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে চেয়ারম্যানের ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হয়। বিষয়টি নিয়ে হাবিব চেয়ারম্যান বলেন, “এই অডিও রেকর্ডের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে জড়াতে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে এই অডিও রেকর্ডটি নূরে আলম খান রতন এবং হযরত বখতিয়ারের ফোনে কথোপকথন এর অডিও রেকর্ড।
চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান এ ধরনের ভুয়া প্রচার, ছবি ব্যবহার ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যারা এ ধরনের অপচেষ্টা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
চেয়ারম্যান আরও জানান, মৎস্য প্রজেক্টজ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে, ঐ মৎস্য প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক নূরে আলম খান রতন, হযরত বখতিয়ার, এ্যাডভোকেট সোহেল ও দিলবর মোল্লাসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে খোঁজ নিলে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।
এ ব্যাপারে মৎস্য প্রকল্প প্রদান নূরে আলম খান রতন বলেন, উক্ত মৎস্য প্রকল্পটি আমরা দীর্ঘদিন পূর্বেই বন্ধ করে দিয়েছি, চিলনী ও রসাদিয়া গ্রামের মানুষের সহজে যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণ করার ফলে এলাকার জনসাধারণের অনেক পথ ঘুরে তাদের গন্তব্যে যাওয়ার যাতায়াতের পথটি এখন সহজ হয়েছে। চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান এর উদ্যোগে নির্মিত এই সড়কটি নির্মাণের পর আমরা মৎস্য প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছি। সড়কে দুই দিকে পানি প্রবাহের জন্য কালবার্ট নির্মাণ করার ফলে সড়কের দুই প্রান্তের পনি প্রবাহিত সহজতর হয়েছে। এখন প্রাকৃতিকভাবে জমির মালিকগণ নিজ নিজ ডাঙ্গা বা পুকুরে মাছ চাষ করে থাকে।
মৎস্য প্রকল্পের প্রধান নুর আলম রতন আরো বলেন, আমাদের পরিচালিত ঐ মৎস্য প্রকল্পে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের কোন সম্পৃক্ততা বা অংশীদারিত্ব কখনই ছিল না বা নেই। গত কয়েকদিন পূর্বে মৎস্য প্রকল্পের অংশীদার হযরত বখতিয়ারের সাথে মৎস্য প্রকল্পের বিগত দিনের কিছু বিষয় নিয়ে আমার সাথে ফোনে কথা হয় যা পরবর্তীতে একটি কুচক্রী মহল গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খানের মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেলে অপপ্রচার চালায়। যা খুবই দুঃখজনক ও আইন পরিপন্থি।
এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যেও এ বিষয়ে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে, এবং মিথ্যা প্রচারকারীদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মত দিয়েছেন স্থানীয়রা।